ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ঐতিহাসিক টাঙ্গাইল জমিদার বাড়ি ভ্রমণ

-প্রথমে নেশা ছিলো ঐতিহাসিক স্থান বা পর্যটন স্থানগুলোর দেখার। সেই নেশা হালকা হয়ে গেছে। এখন নেশা শুধু ভ্রমণের। বাংলাদেশ দেখার।
কোনো জায়গা অদ্ভুত সুন্দর হোক আর না হোক, বাংলাদেশের পথে যানবাহনে বসে দুচোখ ভরে দেখতে থাকলেই কেন যেন মনটা ভরে যায়।

বাংলাদেশ দেখবো দেখবো করে ৬০ টা জেলায় পায়ের ছাপ রেখেছি। কোথাও গেলে অনেকেই বলে, ‘এখানে দেখার মতো কিছু নেই। অযথাই…’।
যার নেশা ধরে গেছে গ্রাম দেখার, সবুজ দেখার, বাংলাদেশ দেখার, তাদেরকে এসব বলে আসলে কোনো লাভ নেই।

আবারও গিয়েছিলাম টাঙ্গাইল। বেশকিছু জায়গা দেখলাম। এক পোস্টে ৫ টার বেশি ছবি দেয়া যাবে না বলে সবগুলো জায়গার আলাদা আলাদা পোস্ট দেবো।
আজ ধনবাড়ী নবাববাড়ি প্যালেস ও মসজিদের কথা বলি।

আমরা ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম ঘুরতে। পরদিন সেখান থেকে সকাল ১১ টায় সারাদিনের জন্য মাহেন্দ্র ভাড়া করি ৩৮০০ টাকায়। মাহেন্দ্রতে ১৩ জন পর্যন্ত বসা যায়। আমরা ছিলাম ৯ জন।

ধনবাড়ী গিয়ে যে কারো কাছে জিজ্ঞেস করলেই এই জমিদার বাড়িটির রুট দেখিয়ে দেবে।
সাধারণ কিন্তু দেখতে সুন্দর, ছিমছাম নিরিবিলি লেগেছে জায়গাটা।

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত তথ্য যোগ করলাম:

“নদীঘেরা নির্মল প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যে জেলা টাঙ্গাইল। ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এ জেলা পেয়েছে অন্যতম গ্রহণযোগ্যতা। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তানদের তালিকা বেশ বড়। তবে জেলার অন্যতম আকর্ষণ হলো এখানকার জমিদার বাড়িগুলো।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ জেলায় বেশ কয়েকজন জমিদার বসবাস করতেন। সময় বদলে গেছে, কিন্তু কালের সাক্ষী হয়ে আজও রয়ে গেছে জমিদারদের রেখে যাওয়া সেই বাড়িগুলো।

টাঙ্গাইলের আকর্ষণীয় জমিদার বাড়িগুলোর মধ্যে ধনবাড়ীর নবাব প্যালেস অন্যতম।
বৈরান ও বংশী নদীর মাঝখানে ১২০ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত সাধারণ অথচ অপূর্ব এই নবাববাড়ি। নবাব বাড়িতে রয়েছে নবাব প্যালেস, আবাস ভবন এবং কাছারি ভবনসহ আরো কয়েকটি ভবন। রয়েছে কনফারেন্স হল, কনভেনশন হল, ডাইনিং হল, নবাব মিউজিয়াম ও পাঠাগার।

নবাব বাড়ির পাশেই রয়েছে নবাব বাড়ি মসজিদ। বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে এই মসজিদটি অন্যতম। ষোড়শ শতাব্দীতে সেলজুক তুর্কি বংশের ইসপিঞ্জার খাঁ ও মনোয়ার খাঁ দুই ভাই এ মসজিদটির প্রথম খন্ড (এক কক্ষ বিশিষ্ট মসজিদ) নির্মাণ করেন। মোঘল সম্রাট আকবরের সময় এ দুই ভাই ধনবাড়ির অত্যাচারী জমিদারকে যখন পরাজিত করে এ অঞ্চলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তখন এ মসজিদটি নির্মাণ হয়।”

যেখানেই যাবেন, খেয়াল রাখবেন আপনার বা আপনাদের দ্বারা যেন পরিবেশের দূষণ ও ক্ষতি না হয়।

Source: Nasir Khan‎< Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment