টাইগার হিলে গিয়ে সূর্যদয়কে দেখা সেই সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘা

টাইগার হিলে গিয়ে সূর্যদয়কে দেখা সেই সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে আরো কাছ থেকে দেখাদেখিপুরো শরীর এখন ক্লান্ত সেই সাথে প্রচন্ড ঘুম আসছে দু চোখ ভরে তাই চৌরাস্তায় কিছুটা সময় কাটিয়ে দু জনে হাটতে হাটতে হোটেলের দিকে যাচ্ছি। হোটেলে গিয়ে কিছুক্ষন পরেই শটাং ঘুমে আচ্ছান্ন হয়ে পড়ি। এমনিতে চোখে প্রচন্ড ঘুম, কাল আবার খুব ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠতে হবে কারণ কাল সেই হিলে যাবো সূর্যদয় দেখার জন্য।

ওর ঘুম ভাংলো ভোর ৩ টার পর পর কারণ আমরা রাত ৪ টার দিকে রওনা দিবো। গতকাল আগে থেকেই প্রাইভেট কার ঠিক করে রেখেছি আর ড্রাইভার ভাইও ঠিক রাত ৩ টা ৩০ মিনিটের সময় ফোন দিলো আর বললো দ্রুত রেডি হতে কারণ উনি ঠিক ৪ টায় আমাদের হোটেলের নিচে চলে আসবে। একটু ভোরে না গেলে প্রচন্ড জ্যামে পড়তে হবে তাই আগে থেকেই রওনা দিতে হবে।#দার্জিলিং এর সূর্যদয় দেখার জন্য প্রচন্ড ভীর থাকে তাছাড়া হোটেল গুলোতে হাজার হাজার ট্যুরিস্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাই আগে গেলে ঠিক যায়গা দাঁড়িয়ে সূর্যদয় দেখতে পাবো নতুবা ঠেলাঠেলি করে সামনে দাড়ানোর জন্য যায়গা করতে হবে।

আমরা ফ্রেশ হয়ে ঠিক ৪ টার সময় নিচে নামবো আর তখনি ড্রাইভার ভাইকে ফোন দিলাম আর বললাম যে আমরা নিচে নামছি। আমরা নিচে নেমেই দেখি উনি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। উনাকে একটু হাই-হ্যালো দিয়ে কারে উঠে পড়ি আর আমাদের গন্তব্যের দিকে যেতে থাকি। এভাবে আকা বাকা রাস্তা পার হতে লাগলাম আর সামনে যেতে থাকি তবে কিছু সময় চলার পর বুঝলাম যে, প্রচুর ভীড় হবে কারণ অনেক কার চলছে আশে পাশে দিয়ে তাই বোঝাই যাচ্ছে যে আমাদের আগেও অনেকে বের হয়েছে সূর্যদয় দেখার জন্য।

কার চলতে চলতে একটা সময় আমরা স্টেশন অতিক্রম করে সামনের দিকে যেতে থাকি আর কিছু সময় পর হঠাৎ করে ড্রাইভার ভাই কার থামিয়ে দিলো আর দেখি একজন কারে উঠে পড়লো তাই একটু ভয় পেয়ে গেলাম কিন্তু কিছু সময় পর তাদের কথোপকথন শুনার পর বুঝলাম যে উনি পরিচিত কেউ হবে। তবে কিছু সময় পর বুঝতে পারি যে, জিনি উঠেছিলেন তিনি একজন মহিলা পুলিশ। উনি টাইগার হিলে ডিউটি করার জন্য বের হয়েছেন সেজন্য দ্রুত যেতে আমাদের কারে উঠে পড়লেন আর যেহেতু পুলিশ তাই যেখান সেখান থেকে উঠাটা সাভাবিক।

প্রচন্ড ভীড় ছিল কারণ কয়েক হাজার ট্যুরিস্ট আজ সূর্যদয় দেখার জন্য বের হয়েছে তাই সমস্ত কার এখন রাস্তায়। আমরা জ্যাম ঠেলে ধিরে ধিরে এগিয়ে গেলাম আর ড্রাইভার ভাই বললো যে আমরা গন্তব্যে এসে গেছি কার থেকে নামলাম।

অহ নো, এতো দেখছি প্রচন্ড কন কনে ঠান্ডা আর মৃদু বাতাসে শরীর কেপে উঠছে। এতোক্ষন বুঝতে পারি নাই কারণ কারের মধ্যে জানালা দেওয়া ছিল। তো ড্রাইভার ভাই বললো যে, আমি এখানে পার্কিং করে রাখছি আর এখানেই থাকবো আপনারা একটু হেটে হেটে উপরের দিকে যেতে থাকেন কারণ কার আর সামনে যাওয়ার মত অবস্থা নেই। আমরাও তাকিয়ে দেখি রাস্তা জুড়ে কার আর কার। শত শত মানুষ হাটছে তাই আমরাও তাদের পিছ পিছ হাটছি আর উপরের দিকে যেতে থাকছি কারণ যেখান থেকে সূর্যদয় দেখবো আর কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখবো সেটি অনেক উপরের দিকে অবস্থিত তাই উপরের দিকে কিছু সময় ধরে হাটছি।

একটা সময় আমি আর ঠান্ডা সহ্য করতে পারছিলাম না সেই সাথে ওরও একই অবস্থা। আমরা বুঝতে পারিনাই যে, এতো ঠান্ডা হবে আর তাছাড়া কেবল তো নভেম্বর মাসের শুরু। আমি জামার পরে একটি জ্যাকেট পরেছিলাম কিন্তু পায়ে প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস লাগছে আর সেই সাথে হাত, মুখে আর গলাতে তো আছেই। হাত জ্যাকেটের পকেটে ঢুকিয়ে দিলে আর বের করতে ইচ্ছা করছে না বাতাসের জন্য। একটা সময় হেটে হেটে উপরে আসলাম তারপর দেখি শীতের পোশাক বিক্রি করছে যেখানে বহু ফুটফাতের মতো দোকান সাজিয়ে বসে আছে। এদের দেখে ভাবছি যে, এরা এই খানে কত আগে আসছে। জীবিকার তাগিদে কতই না ত্যাগ শীকার করে থাকে।আমি যখন ওখানে পৌঁছায় তখন ভোর ৪ টা ৫০ বাজে। আর ঔদিন সূর্যদয়ের সময় ছিল ভোর ৫ টা ৪২ মিনিট সময়ে।

একটা দোকান থেকে দ্রুত দামদর করে ১০০ রুপি দাম দিয়ে ২ জোড়া হাত মোজা কিনলাম আর দ্রুত হাতে পরে নিলাম দুজনে, এবার কিছুটা হাতকে রক্ষা করতে পারছি। কিন্তু আশে পাশে যাকেই দেখছি প্রায় সবাই হাত মোজা, পা মোজা আর জুতা পরে আসছে আর আমরাই মনে হয় এসব বাদে আসছি। আমার জানা ছিল না তবে মাথায় শীতের টুপি পরে আসছি তাই কিছুটা মাথাকে রক্ষা করতে পারছি। তবে ডিসেম্বর/জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে তাই যারা আসবেন অবশ্যই এসবের প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন অথবা এখানে এসে কিনে নিবেন।

আমরা সবাই সূর্যদয়ের জন্য অপেক্ষা করছি আর সোনালি রঙের #কাঞ্চনজঙ্ঘা কে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। কারণ যখন সূর্য উঠে আর তার আলো গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর পতিত হয় আর তখনই সোনালি রঙের মতো দেখা যায়। কিছু সময় পর কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখা গেলো একটু অস্পস্ট আকারব যেহেতু এখনো অন্ধকার আছে আর যার যেমন ক্যামেরা আছে সে তেমন স্টাইলে ছবি তুলছে আবার কেউ ভিডিও করছে সে অন্য অন্য রকম অনুভূতি। তবে যত সময় গড়াচ্ছে ততই মানুষের প্রচন্ড ঢল নেমেছে একটু খানি সূর্যদয় দেখার জন্য।

টাইগার হিলে আসছি মূলত সূর্যদয়কে দেখার জন্য। সূর্য তার নিজস্ব ভংগিতে কিভাবে উঠে থাকে আর তার চারপাশ টা কেমন হয়ে থাকে সেটাই মূলত দেখার জন্য এতো মানুষের ঢল নেমেছে। এখানে একটা বিল্ডিং এর কাজ চলছে মানে সূর্যদয়কে আরো উপরে উঠে দেখার জন্য কিন্তু এখনো কাজ শেষ হয়নি তাই আমরা দুজনে বিল্ডিং এর শিড়ি দিয়ে উঠে আর একটু উপরের দিকে গেলাম আর পূর্ব দিকের আকাশে তাকিয়ে আছি কখন সূর্য উঠবে, ঘড়িতে এখন ভোর ৫ টা বেজে ৩০ মিনিট আর ঠিক তখনই সবার চোখ মুখ আর মন ম্লান হওয়ার পথে কারণ যেখান দিয়ে সূর্যমামা উঠবে ঠিক সেই যায়গাতে প্রচুর মেঘ জমা হলো আর কেমন যেন কুয়াশার পরিমান বেড়ে যাচ্ছে তাই সূর্য উঠা দেখা হবে কিনা সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। এদিকে হাজার হাজার মানুষের নিরাশার একটা প্রতিদ্ধনি শোনা যাচ্ছে। তবে হটাৎ করে ৫ টা ৪০ মিনিটের সময় মেঘ সরে যেতে থাকে আর সূর্যদয় হওয়ার সময় তার আশে পাশে অন্য রকম এক লাল আভা দেখতে পাওয়া যেতে থাকে। আর হাজার হাজার মানুষের করতালি দিতে থাকে, কেউ কেউ শিশ দিতে থাকে, কেউ ওয়াউউউউ বলে সম্মোধন করতে থাকে।

আমিও আমার মোবাইলের ক্যামেরা অন করে কিছু ছবি তুলে নিচ্ছি। ঠিক ৫ টা ৪৩ মিনিটের সময় সূর্যের এক কোন ভেদ করে উঠতে শুরু করলো আর এভাবে ধিরে ধিরে উঠছে। অহ সে যে কি ভালো লাগছে তা বোঝাতে পারবোনা। আল্লাহর সৃষ্টি কে পাহাড় থেকে দেখার জন্য কেউ শত শত কি.মি. আবার কেউবা হাজার হাজার কি.মি. দূর থেকে ছুটে এসেছে যেমন আমি এসেছি বাংলাদেশর নড়াইল জেলা থেকে আর দূরত্ব প্রায় ১০০০ কি.মি। তাই হয়তো কাউকে নিরাশ করে নাই কিন্তু মাঝে মাঝে নিরাশ করে বৈরি আবহাওয়ার কারণে।

চমৎকারভাবে একটু একটু করে উঠছে আর আমরা সবাই ছবি তুলছি আর চিল্লাপাল্লা করছি সূর্য উঠা দেখে তবে যখন সূর্য উঠছিল তখন #কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর সূর্যের আলো পড়ে তাকে আরো বেশি স্পস্ট দেখাচ্ছে এবং একদম সোনালি রঙ আর কিছুক্ষন পর সাদা বরফের বিশাল এক পাহাড় দেখা যাচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডা থাকলেও তখন আর এসব অনুভূতি কাজ করছে না কারণ অন্য রকম এক ভালো লাগার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি।

একটা সময় ধিরে ধিরে সূর্য উঠতে উঠতে পুরোটা জুড়ে উদয় হলো আর সবাই দেখলাম যে পাহাড় ভেদ করে উঠলে কেমন লাগে কারণ এর আগে দেখেছি সমুদ্রের ভিতর হারিয়ে যেতে। আমরা প্রায় ৭ টা পর্যন্ত ওখানে থাকলাম তারপর একে একে সবাই বের হতে লাগলো সেই সাথে আমরাও হেটে নিচে নামতে থাকি আর দেখি শত শত প্রাইভেট কারের জ্যাম লেগে আছে। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর আমাদের প্রাইভেট কার খুজছি তবে কারের নাম্বার প্লেটটা মনে রেখেছিলাম আর রাস্তার পা পাশে ছিল তাই বা দিক দিয়ে খুজতে খুজতে যাচ্ছি আর কিছু সময় পর কার পেয়ে গেলাম আর ড্রাইভার ভাই জ্যাম ঠেলে কার চালানো শুরু করে দিলো।

আমরা #টাইগার হিল দেখে #ঘুম মনাস্ট্রির কাছে এসে নামলাম আর ড্রাইভার ভাই একটু সিরিয়াল করে এক পাশে সময় কাটাতে লাগলো। আমরা ভিতরে প্রবেশ করে সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে পড়ি আর #বৌদ্ধদের অনেক পুরাতন ও বিখ্যাত মনাস্ট্রি দেখলাম। তবে এই মনাস্ট্রির ফাকা স্থানে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা আছে মানে তারা পরাটা/লুচি এবং ডাল ভাজি বিক্রি করে। আমি আর ও দুজনে মিলে ২ পিচ কিনে খেলাম, সত্যি বলছি দারুন সাদ লাগলো তবে কেন লাগলো তা বুঝতে পারলাম না। যাইহোক #মনাস্ট্রির ভিতরে প্রবেশ করলাম জুতা খুলে আর একটু ঘুরে দেখলাম তাদের ধর্মীয় আচার-আচারণ তবে কলিম্পং যা দেখেছিলাম এখানেও সেই একই রকম রীতি।

#ঘুম মনাস্ট্রি দেখে বের হয়ে আমরা চলে গেলাম সেই #বাতাসিয়া লুপ যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা কে আরো বেশি সুন্দরভাবে দেখা যাচ্ছে আর অনেক সুন্দর একটি স্থান। জায়গাটি গোলাকার আকৃতির আর চারপাশে ফুল গাছে সমৃদ্ধ আর প্রচুর শীতের পোশাক বিক্রির জন্য রাস্তার পাশে ছোট ছোট ফুটপাত দোকান আছে তবে এই #বাতাসিয়া লুপ হয়ে একদম #ঘুম পর্যন্ত ট্রেন যাতায়াত আছে আর প্রায় ৭৪০০ ফুট উচু স্থানে অবস্থিত। আমরা ওখান থেকে চারপাশ টা আরো সুন্দরভাবে দেখছি আর অবাক হচ্ছি পৃথিবী এতো সুন্দর কেন। ওখানে কিছু সময় কাটিয়ে আর সকালের শীতের রোদে দাঁড়িয়ে কিছু পিক তুলছি বিভিন্ন স্টাইলে।

ঘড়িতে প্রায় ৮ টা+ বেজে গেছে তখন আমরা ব্যাক করার জন্য আবারো কারে উঠি আর হোটেলে পৌঁছে যাই। ড্রাইভার ভাই দেড় ঘন্টার জন্য আমাদের কে ছুটি দিলো ব্রেকফাস্ট ও রেস্ট নেওয়ার জন্য। আমরা ব্রেকফাস্ট করে নিজেদের রুমে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে আবারো রেডি হলাম আর ঠিক ১০ টার সময় ড্রাইভার ভাইকে হোটেলের নিচে চলে আসলো আর আমরাও ততক্ষনে নিচে নামলাম। আমরা এবার #Darjeeling Zoo তে যাবো যা একদম চৌরাস্তার পাশেই মানে আমাদের হোটেল থেকে মাত্র ২ কি.মি. দূরে অবস্থিত। এটি চৌরাস্তা/হোটেল থেকে হেতে যেতে চাইলে মাত্র ২০/২৫ মিনিট সময় লাগে। চিড়িয়াখানার ওখানে পৌঁছানোর পর কার থেকে নেমে দেখলাম অল্প মানুষের ভিড়। আমরা এন্ট্রি টিকিট নেওয়ার জন্য লাইনে দাড়ালাম আর এন্ট্রি টিকিট এর দাম প্রতিজন ১০০ রুপি করে তবে চিড়িয়াখানার সাথে অবস্থিত মানে এক সাথে ২ টি জিনিস দেখার সুযোগ আছে।

লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম আর ঠুকেই খুব ভালো লাগছে কারণ অন্য রকম চিড়িয়াখানা আর পাহাড়ের উপর ব্যতিক্রম ভাবে তৈরি করা হয়েছে যা আগে কখনো এরকম সিস্টেমের চিড়িয়াখানা দেখিনি। প্রতিটি প্রানীদের বনে থাকার মতো পরিবেশ তৈরি করেই করা হয়েছে তাই ভালো লাগছে। আমরা প্রথমে গেট দিয়ে ঢুকে একটু এগিয়ে ডান দিকে একটি রাস্তা উপরের দিকে চলে গেছে সে রাস্তা বরাবর এগিয়ে যেতে থাকে আর একটু এগিয়ে দেখি রঙের পান্ডা। এই পান্ডা টিভিতে অনেক দেখেছি কিন্তু বাস্তবে আজ দেখলাম। এরা খুব বিনয়ী আর ভদ্র সভাবের মনে হচ্ছে। এই পান্ডার আবাসস্থলে গাছ গাছালি, বন, থাকার মতো ২ টা গাছের উপর খুপরি সব ই আছে তাই হয়তো পান্ডারও সময় কেটে যায়। এই লাল পান্ডা ওজনে ৩ থেকে ৫ কেজি আর লম্বায় ২ ফুটের বেশি হয়না। আর একটু সামনে গিয়ে দেখি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কারখানা। আমি এমনিতেই সাপকে প্রচন্ড ভয় পেয়ে থাকি তারপরও এক নজর দেখে নিলাম ভয়ংকর প্রজাতির কিছু সাপ।

তারপর হনুমান এর আবাসস্থল দেখলাম কিন্তু ওরা নিজেরা নিজেদের কাজে খুব ব্যস্ত যেমন মা তার সন্তানের উকুন কেড়ে দিচ্ছে আবার কেউ দুধ খাওয়াচ্ছে তাই আর তাদের সাথে মজা করতে পারি নাই। তারপর দেখলাম বিড়াল যা দেখতে বিশাল আকৃতির আর রাগীও বটে। আমাদের দেখে সে একটু বিনোদন দেওয়ার চেস্টা করলো যেমন একবার গাছে উঠে আবার নামে আবার চারদিকে ঘুরছে তো ঘুরছেই এইসব কান্ড দেখলাম কিছু সময়। আমরা সবাই কম বেশি তার আচারণে বেশ মজা পাচ্ছিলাম। এছাড়া আরো অনেক কিছু দেখে আবার ব্যাক করছি ওই রাস্তা বরাবর মানে একটু নিচের দিকে নামছি। তারপর আর এক রাস্তা দিয়ে উপরের দিকে যেতে থাকি আর প্রথমেই দেখলাম অন্য এক প্রজাতির হরিণ, ভিন্ন প্রজাতির ষাড়, চিতা বাঘ।

এমনকি স্নো এরিয়াতে (বরফ এরিয়াতে) যে LeoPard বসবাস করে থাকে তাদেরকেও এক নজর দেখে নিলাম। হাটতে হাটতে আমরা আরো উপরের দিকে যাচ্ছি আর মাঝে মাঝে হাপিয়ে যাচ্ছি কিন্তু তবুও ঘুরে দেখার ইচ্ছা থাকার কারণে যেতে থাকি আর রয়েল বেংগল টাইগার কে দেখার চেস্টা করি কিন্তু তিনি খুব রাগ করাতে আর দেখতে পাইনি।

আমরা হেটে হেটে রাস্তার বা পাশের একটা আইস্ক্রিমের দোকানে ঢুকে পড়ি আর ২ টা আইসক্রিম কিনে খাচ্ছি আর আশে পাশে আরো অনেকে বসে জিড়িয়ে নিচ্ছে আবার কেউ অন্য কিছুও খাচ্ছে। আমরা আইসক্রিম খেতে খেতে আবারো হাটা শুরু করলাম আর #HMI (Himalayan Mountain Institute) এর গেটের কাছে এসে পৌঁছালাম। HMI হচ্ছে মূলত হিমালয়ের ট্রেকিং করার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যা ভারতের দার্জিলিং শহরে অবস্থিত। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শত শত ট্রেকাররা প্রশিক্ষন নিয়ে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার জন্য চেস্টা করে। গেট দিয়ে প্রবেশ করে সোজা গেলেই একটা রুম দেখতে পেলাম যা ওয়াশ রুমের পাশেই আর সেখানে ৫০ রুপির টিকিট কিনে বাস্তবে মাউন্ট এভারেস্টে কিভাবে উঠতে হয় সেটা ঝালিয়ে নিচ্ছে অনেকে শখের বসে। অনেক ছাত্র ছাত্রী প্রশিক্ষণ নিয়ে বাস্তবে প্রশিক্ষণ নিতে মাউন্ট এভারেস্টে চলে যায় আর চেস্টা করে থাকে জয় করার জন্য। এটা সত্যি এক দারুন ব্যাপার আর এখানে না আসলে অনেক কিছুই অজানা থাকতো কারণ একজন ব্যক্তির মাউন্ট এভারেস্টে চড়তে কি কি দরকার হয় আর কিভাবে উঠে থাকে তার সমস্ত কিছুর খুটিনাটি দেখলাম আর জানলাম।

এরপর আমরা আরো উপরের দিকে উঠে বাংলার সংস্কৃতির বিল্ডিং এ প্রবেশ করি আর ভিতরে প্রবেশ করেই চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা হলো কারণ এখানে মাউন্ট এভারেস্টে যে সব পশু-পাখি বসবাস করে বা পাওয়া যায় তাদের এক বিশাল সংগ্রহশালা।

এখানে বহু প্রজাতির Real পাখি, পশু, পোকামাকড় সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে যদিও সব মৃত কিন্তু মেডিসিন দিয়ে তা সংরক্ষিত করা আছে যুগের পর যুগের তবুও তাদের জীবিতদের মতো মনে হচ্ছে। একটি বিশাল আকৃতির ঈগল পাখি দেখলাম যা ১৯৬১ সালে ১৮০০০ ফুট উপরে অসুস্থ অবস্থায় পেয়েছিল যা পরে মারা গিয়েছিল। একটি Leo Pard দেখলাম যা বরফের মধ্যে বসবাস করা অবস্থায় মারা গিয়েছিল আর এটি পেয়েছিল ১৯৬৮ সালে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ দেখলাম যারা মাউন্ট এভারেস্ট এরিয়াতে বসবাস করে থাকে। তবে সব চেয়ে বেশি অবাক হয়েছি শত শত প্রকারের সংগ্রহ দেখে কারণ এই দীর্ঘ জীবনে এতো রকম প্রজাপতি আগে দেখিনি।

কিছু বিশাক্ত পোকাও দেখলাম যা বিশাল আকৃতির এমনকি অনেক বড় প্রকৃতির মাকড়শাও দেখলাম যা হয়তো আগে কখনো দেখিনি। এই বিল্ডিং এ প্রবেশ করে অনেক কিছুই দেখলাম তারপর বের হয়ে আমরা নিচের দিকে নেমে যেতে থাকি আর বের হওয়ার জন্য মেইন গেটের কাছে যেতে থাকি। আর গেটের পাশেই ভাল্লুকআর হরিণের আবাসস্থল আছে কিন্তু প্রথমে তাদের দেখা পাইনি কিন্তু এখন হঠাৎ করে কালো বিশাল আকৃতির এক ভাল্লুক উদয় হলো আর তাকে দেখলাম কিছু সময়। একটা সময় পর আমরা বের হলাম এখান থেকে তারপর ড্রাইভার ভাইকে নিয়ে তেনজিং রক নামে পরিচিত আর এই তেনজিং সাহেবই প্রথম যিনি মাউন্ট এভারেস্টের চুড়ায় প্রথম উঠে জয় করেছিলেন তাই তার নামানুসারে তেনজিং রক গার্ডেন নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও এখানে পাথরের ছোট্ট একটি পাহাড় বা স্তুপ আছে যেখান থেকে #তেনজিং সাহেব প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এভারেস্ট জয় করার জন্য। আমরা কিছু সময় ওখানে ব্যয় করলাম। এখানে ১০০ রুপি করে দিলে মাউন্ট এভারেস্টে কিভাবে চড়তে হয় সেটা ঝালাই করে নেওয়া যাবে। যদিওবা একজন হেল্প করছে কিন্তু সাহস পেলাম না, তাই আর মাউন্ট এভারেস্ট জয় করলাম না। আমরা কিছু সময় পর টি-গার্ডেনের দিকে যেতে থাকি আর এখানে প্রায় ১৪/১৫ টি চায়ের দোকান দেখলাম যা সিরিয়াল অনুযায়ী সেট করা যেমন ১/২/৩/৪ এরকম সিরিয়াল করা থাকে। আমরা একটু চায়ের বাগানে প্রবেস করলাম আর ফটোশেসন করছি দুজন মিলে আর কিছু পিকও নিলাম নিজেদের ইচ্ছামত। চায়ের বাগানটি মূলত পিক তোলার জন্যই বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই বাগানে ঢুকে অনেকেই ছবি তুলছে আর চারিপাশ টা দেখতেও বেশ লাগছে যা লিখে বোঝানো যাচ্ছে না। আমরা এখানে ১৫/২০ মিনিট সময় ব্যয় করে বের হলাম তারপর ১২ নাম্বার ঘরে ঢুকে চা খেলাম সেই সাথে অল্প দামে ১ কেজি চাও কিনলাম বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য।

এখান থেকে বের হতে হতে প্রায় ৪ টা বেজে গেল তারপর আমরা মনাস্ট্রি যাওয়ার জন্য কারে উঠছি আর কারও ছুটে চললো পাহাড়ি রাস্তা ধরে। পাহাড়ির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে একটা সময় চলে আসলাম টেম্পলের ধারে। আমি টেম্পল দেখে অবাক হচ্ছি কারণ পাহাড়ের অনেক উচুতে এই টেম্পল অবস্থিত আর দেখতেও বেশ লাগছে। আমরা দুজন সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছি আর প্রথম যে বিল্ডিং টা দেখছি সেটার ভিতর প্রবেশ করলাম জুতা খুলে আর সিড়ি বেয়ে দোতলাতে উঠছি। এখানে বৌদ্ধদের রীতি অনুযায়ী ঢোলের মত কয়েকজন বাজাচ্ছে আর আমাদেরকে ইশারা করলো ওখানে বসে ওদের সাথে সামিল হতে কিন্তু আমরা ওখানে না বসে আবার নিচের দিকে নেমে এলাম। আমরা বাইরে বের হয়ে একটু সামনের দিকে হাটছি আর #জাপানিজ টেম্পল এর মূল আকর্ষণ দেখলাম দুচোখ ভরে আর সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসেপাশে দেখলাম আর কারুকাজ দেখে ভালোই লাগছে। ছবি তোলার জন্য বিভিন্ন পোজ দিচ্ছি আর চারিদিকে পাহাড় আর পাহাড় দেখে আরো উৎফুল্ল হয়ে পড়ছি।

এখন ঘড়িতে বিকেল প্রায় ৫ টা বেজে গেছে তাই সিড়ি বেয়ে আবারো নিচে নামছি কারণ আমরা এখন হোটেলের দিকে রওনা দিবো। আকাবাকা পথ অতিক্রম করে চলছি আবারো তারপর ২০/২৫ মিনিট পর আমরা হোটেলের কাছে নামলাম আর একটু ওয়াশ রুম থেকে রিফ্রেশমেন্ট হয়ে দুজনে হাটতে হাটতে সোনার বাংলা হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টে যাচ্ছি কারণ প্রচন্ড ক্ষুদা লাগছে তাই কিছু খাওয়ার জন্য প্রবেশ করলাম।সাদা ভাত, মাছ ও ডাল নিলাম আর পেট ভরে খেয়ে হোটেলের দিকে গেলাম। আজ চৌরাস্তার দিকে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে আবারো হোটেলের দিকে ব্যাক করছি কারণ কাল আমাদের দিকে রওনা দিতে হবে। কারণ বাগডোগড়া এয়ারপোর্ট থেকে এয়ার টাইম দুপুর ১২ টার দিকে।

আমরা হোটেলে পৌছে ম্যানেজারের সাথে কথা বলে আমাদের কিছু ডিউ বিল ছিল যা পরিশোধ করলাম কারণ রাতে একদিন খেয়েছিলাম সেটার বিল বাকি ছিল যা তারা চেক আউটের সময় নিয়ে থাকে আর সকাল ৭ টায় চেক আউট করবো সেটাও বলে রাখি কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ম্যানেজার বলছে যে, আমাদের #ব্রেকফাস্ট প্যাকেট রেডি করে রাখবে যদি আমরা নিতে চাই কারণ হোটেল থেকে পরের দিন যাওয়ার সময় সকাল ৭ টায়।

রুমে গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে রাখলাম কারণ পরের দিন সকালে রওনা দিতে হবে। একটা সময় প্রচন্ড ক্লান্ত শরীরে ঘুমে আচ্ছান্ন হয়ে পড়ি। খুব ভোর বেলা ঘুম ভাংলো আর ফ্রেশ হয়ে সকাল ৭ টার সময় হোটেল থেকে চেক আউট করি আর কার হোটেলের সামনে অলরেডি এসে গেছে তাই আমরাও নিচে নেমে যাচ্ছি। হোটেল ম্যানেজার ও স্টাফদের থেকে বিদায় নিয়ে আমরা রওনা দিলাম।

দার্জিলিং শহরের আকাবাকা পথ চড়ে এগিয়ে চলছি আর কিছুটা হলেও খারাপ লাগছে কারণ ৪ দিন থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে খুবই ভালো লেগেছে হয়তোবা আরো কিছুদিন থাকতে পারলে #লাভা তে ঘুরে আসতে পারতাম। আমরা একটা সময় ঘুম স্টেশন ক্রসিং করে সামনে এগিয়ে গেলাম আর পাহাড়ের সৌন্দর্য আরো বেশি দেখতে পাচ্ছি কারণ ঘর-বাড়ি কমে গিয়ে শুধুই রাস্তা আর পাহাড় সেই সাথে আকাশ দেখা যাচ্ছে। অসাধারণ রাস্তা আর পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছি। সত্যি বলছি যতই দেখছি ততোই মুগ্ধ হচ্ছি আর ভাবছি #আল্লাহ এই এরিয়াকে যদি এতো সৌন্দর্য দিয়ে থাকে তাহলে আরো বহ স্থান আছে যেখানে হয়তো যাওয়ার সৌভাগ্য হবে কিনা জানিনা তবে অসাধারণ হবে সেই সব স্থান।

উনার আবার চা খাওয়ার একটু নেশা আছে তাই যেতে যেতে রাস্তার ডান পাশে একটা হোটেলের পাশে কার থামিয়ে নামলাম আর চা, বিস্কুট খেতে থাকি আর এমন সময় সেই #টয় ট্রেনের শব্দে তাকিয়ে দেখি আস্তে আস্তে ট্রেন চলে যাচ্ছে ঘুম স্টেশনের দিকে। চা খাওয়া শেষ হলে আবারো কার নিয়ে ছুটে চলছি আর প্রাণভরে পাহাড়ের মৃদু শীতল বাতাস খাচ্ছি। এভাবে যেতে যেতে হঠাৎ মোবাইলে একটা মেসেস আসে আর তাতে লেখা আমাদের ফ্লাইটের সময় চেঞ্জ করে বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে করা হয়েছে, এটা দেখে মেজাজ একটু খারাপ হয়ে যাচ্ছে কারণ এই মেসেসটি সকাল ৭ টার আগে দিলে সেক্ষেত্রে হোটেলে ১২ টা পর্যন্ত রেস্ট নিয়ে তারপর বের হতাম কারণ আমরা এয়ারপোর্ট পৌঁছাবো সকাল ১০ টার মধ্যে তাই বাকি সময় এয়ারপোর্টে বোরিং সময় কাটাতে হবে। মূলত কারে করে গেলে দার্জিলিং শহর থেকে বাগডোগড়া এয়ারপোর্ট যেতে প্রায় ৩ ঘণ্টার মতো সময় লাগে।

একটা সময় শিলিগুড়ির #বাগডোগড়া এয়ারপোর্ট এসে নামলাম আর ড্রাইভার ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় জানালাম। আমরা ব্যাগ নিয়ে সিকিউরিটি অফিসারকে জিজ্ঞেস করলাম যে আমাদের স্পাইজ এয়ারটাইম বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিট করা হয়েছে কিনা মানে আরো সিউর হয়ে নিলাম। অফিসার আমাদের এয়ার টাইম নিশ্চিত করলো তারপর আমরা ব্যাগ নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করি এয়ার মোবাইল থেকে #ই-টিকিট দেখিয়ে। আমরা ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাগ গুলি বোর্ডিং এ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছি কারণ এতো সময় ধরে ব্যাগ নিয়ে টানাটানি বিরক্তি লাগবে তাই স্পাইজ জেট কাউন্টারের লেডি অফিসারকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় দিবো কারণ এই এয়ারপোর্ট খুবই ছোট আর চেকিং সিস্টেম সব এয়ার কোম্পানির জন্য ২ টা তাই স্পেসিফিক ভাবে লেখা নেই যে স্পাইজ জেট/এয়ার ইন্ডিয়া/ইন্ডিগো এয়ার ইত্যাদি।

ব্যাগ চেকিং ও স্ক্যানিং শুরু হয়ে গেল কিছু সময় পর তারপর আমরা আমাদের সব লাগেজ স্ক্যানিং করে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট নিচ্ছি সেই সাথে লাগেজগুলো দিয়ে দিলাম শুধু হ্যান্ড/ঘারে বাধানো ব্যাগ সাথে রাখলাম। মূলত ১৫ কেজি পর্যন্ত লাগেজে ছাড় পাবেন আর ৭ কেজি পর্যন্ত হ্যান্ড/ঘাড়ে বাধানো ব্যাগে ছাড় পাবেন। তারপর আমরা আমাদের টিকিট নিয়ে উপরে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি দীর্ঘ সময় ধরে। যখন বিকেল ৪ টা বাজে তখন মূল সিকিউরিটি চেক ইন করে এয়ারের ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করি আর একটা সময় এয়ারে চড়ার সময় চলে আসে তবে এই স্পাইজেট খুব ই ছোট যেমন ৮০/৮৫ জন যাত্রী ধরে তবে ২ বাই ২ করে সিট সিস্টেম। যখন এয়ার ছাড়ে তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে।

সব কিছু ঠিক ঠাক হওয়ার পর সঠিক সময়ে প্লেন চালু হয়ে গেছে আর জানালা দিয়ে আকাশের তারা দেখার চেস্টা করছি আর ভাবছি ইশ যদি চাঁদে বা তারার ভিতর যদি ঢুকে যেতে পারতাম। তবে দার্জিলিং আবার আসতে হবে কারণ #লাভা ও #সিকিম দেখা বাদ আছে এখনো আর ভাবছি পরেরবার আর কোথায় ঘুরতে যাবো সেই প্লান মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে ——————

বিঃদ্রঃ কোথাও ঘুরতে গিয়ে যেখানে সেখানে চিপসের প্যাকেট, ঠোংগা বা অন্য কিছু ফেলবেন না। পরিবেশ রক্ষা করুন।

Source: Shaikh Abdur Rahman‎ <Travelers of Bangladesh (ToB) – ভ্রমন গাইড বাংলাদেশ

Share:

Leave a Comment