ঘুরে আসুন সন্তোষপুর রাবার বাগান

রাবার গাছের সবুজ পাতাগুলো বাতাসের সঙ্গে দুলছে। ঘন এসব গাছের মাঝ দিয়ে হাঁটা দিলে সবুজের সমারোহে হারিয়ে যাবে মন। গাছের ছায়ায় বসলে জুড়িয়ে যাবে শরীর ও প্রাণ। বিস্তৃত সমতল জায়গার মধ্যে এ রাবার বাগানের চারপাশে তাকালেও দেখা মিলবে অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। ঢাকার কাছে এমনই নয়নাভিরাম রাবার বাগান রয়েছে। অনন্য প্রাকৃতিক শিল্পসত্ত্বায় পরিপূর্ণ এ বাগানে অনায়াসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারেন দর্শনার্থীরা। বলছিলাম সন্তোষপুর রাবার বাগানের কথা।

ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নে গড়ে তোলা হয়েছে এই রাবার বাগান। তবে পরিচিতি না পাওয়ায় এ রাবার বাগান খুব বেশি দর্শনার্থী টানতে পারছে না।

বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে সন্তোষপুর রাবার বাগান থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে গাছের কষ সংগ্রহ করে রাবার তৈরি করা হয়, যা বিদেশেও রফতানি করা হয়। অপূর্ব সন্তোষপুর বনাঞ্চল ১০৬ একর পাহাড়ি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এছাড়া বনে শাল ও গজারিসহ নানা জাতের বৃক্ষ এবং বিরল প্রজাতির প্রায় পাঁচশতাধিক বানর রয়েছে। প্রায় ২৬ একর জায়গা জুড়ে স্থাপিত এই অর্কিড বাগান সারাবছর পাখির কলতানে মুখর থাকে। আরেকটু সময় থাকলে পায়ে হাঁটার দূরত্বে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার গুপ্তবৃন্দাবন গ্রামে দেখে আসতে পারেন শতবর্ষী তমাল গাছ।

নির্দেশনা

নিজস্ব পরিবহনে কিংবা রেন্ট-এ কার নিয়ে গেলেই সবচেয়ে সুবিধা হবে। এছাড়া যদি বাসে যেতে চান তবে ঢাকার মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহগামী বাসে চড়ে ফুলবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ড নামতে হবে। সেখান থেকে অটো বা সিএনজি করে অর্কিড বাগান দেখতে যেতে পারেন কিংবা যদি সরাসরি সন্তোষপুর রাবার বাগান যেতে চান তবে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে সিএনজি যোগে যেতে পারবেন।

সাধারণত সন্তোষপুর রাবার বাগান দেখে দিনে গিয়ে দিনেই ঢাকা ফিরে আসা যায়। তবু প্রয়োজনে রাত্রি যাপন করতে চলে আসতে পারেন ময়মনসিংহ শহরে।

Share:

Leave a Comment